Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 5:39 pm

লিটন-নাঈম শঙ্কামুক্ত বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ইডেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাথায় বলের আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন লিটন দাস ও নাঈম হাসান। স্বাভাবিকভাবেই তাদের নিয়ে বেড়েছিল দুশ্চিন্তা। তবে গতকাল এ দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এদিকে একই ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।

দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, লিটন-নাঈম শঙ্কামুক্ত। এদিকে মাহমুদউল্লাহর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে বিসিবির এ চিকিৎসক সময় বেঁধে দিয়েছেন এক সপ্তাহ।

লিটন-নাঈমের ব্যাপারে দেবাশীষ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ওরা মাথায় চোট পাওয়ার পর সেখানেই (কলকাতায়) ডাক্তার দেখিয়েছে। পরে সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালে স্ক্যান করানো হয় তাদের। স্ক্যানের রিপোর্টে কোনো ব্লিডিং বা খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি। ধরে নিচ্ছি ওদের অবস্থা তেমন মারাত্মক নয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দুদিন ওদের সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। আইসিসির কিছু গাইডলাইন আছে মাথায় চোট পাওয়ার বিষয়ে। আঘাত লাগার দুদিন পর ওরা স্বাভাবিক শারীরিক কাজ শুরু করতে পারে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট দেখে বলতে পারছি যে, ওরা শঙ্কামুক্ত। ওরা দেশে ফিরলে আমরা আবার ওদের রিভিউ করব। তবে সবার সহযোগিতায় এতটুকু বলতে পারি ওরা শঙ্কামুক্ত আছে।’

মাহমুদউল্লাহ এরই মধ্যে স্ক্যান করিয়েছেন। কিন্তু তার রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি বিসিবির চিকিৎসকরা। তাই আপাতত এ ডানহাতিকে সাত দিনের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেবাশীষ, ‘ওর চোটটা হচ্ছে গ্রেড ওয়ান হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। সে গতকাল স্ক্যান করিয়েছে; আমরা এখনও রিপোর্ট হাতে পাইনি। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খুব অল্প মাত্রার হ্যামস্ট্রিং হলেও আমরা সাত দিনের বিশ্রাম বেঁধে দিই। ফিট না হয়ে খেলায় ফিরলে আবার ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। একই ইনজুরি ওই স্থানে হলে সারতে সময় নেয়। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, ওর দ্বিতীয় ইনজুরিটা আটকানো। কারণ, একই জায়গায় দ্বিতীয়বার চোট পেলে ফিরতে দ্বিগুন সময় লাগতে পারে। এতে এক মাসের মতো সময় লেগে যায়। আর তৃতীয়বার লাগলে খেলোয়াড়ের ওই মৌসুম মিস করার একটা সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে ইনজুরিটা যেন দ্বিতীয়বার না হয় সে ব্যবস্থা করা।

সম্প্রতি জাতীয় দলের আরও কয়েকজন ক্রিকেটার চোটে পড়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে গতকাল বিসিবি কার্যালয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘মাশরাফি মোটামুটি চেষ্টা করছে নিজের রিহ্যাব প্রোগ্রামটা চালিয়ে নেওয়ার জন্য। আজও (মঙ্গলবার) সে ফিজিওথেরাপি ও জিম সেশন করেছে। তবে আমরা যেভাবে চাচ্ছি তাকে সময় দিতে রিহ্যাবের জন্য, সেভাবে সে সময় দিতে পারছে না। ওর ব্যথা কমে আসছে আগের থেকে কিন্তু পুরোপুরি সেরে গেছেÑএটা বলা যাবে না। ও যদি ব্যস্ততার বাইরে আরেকটু সময় দিতে পারত, তাহলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠত। বিপিএলের আগে ঠিক হয়ে যাওয়া উচিত। যে সময় সে আঘাত পেয়েছে, আর সেরে ওঠার জন্য যতটুক সময় পেয়েছে, তাতে আশা করা যায় সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে বড় ভূমিকা রাখবে ওর পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটি। যত বেশি সময় দিতে পারবে, তত বেশি ওর জন্য সহজ হবে ফিরে আসা।’