শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারি থেকে শুরু করে ইউক্রেন যুদ্ধের মতো সংকটের জের ধরে ইউরোপ বহির্বিশ্বের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে৷ লিথিয়ামের ক্ষেত্রেও যতটা সম্ভব স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে ইইউ৷ খবর: ডয়চে ভেলে।
ব্যাটারি উৎপাদনে অগ্রগতি আনতে লিথিয়ামের মতো সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু ব্যাটারির মানের উপযুক্ত উপাদান তৈরি করতে রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ বেশ কঠিন৷ অ্যালকালি বা ক্ষার পরিশোধন এবং সেই উপকরণ প্রক্রিয়াজাত করার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বর্তমানে চীনের আধিপত্য রয়েছে৷ কিন্তু সেই নির্ভরতা কমাতে ইউরোপকে নিজস্ব উদ্যোগে উপকরণ সরবরাহের শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে হবে।
জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরে এএমজি লিথিয়াম কোম্পানির ল্যাবে কেমিস্টরা পরিশোধনের প্রতিটি ধাপের ওপর অবিরাম নজর রাখেন এবং সেগুলো পরীক্ষা করেন৷ তারাই লিথিয়াম হাইড্রক্সাইড প্রক্রিয়াজাত করার এই প্রক্রিয়া ডিজাইন করেছেন৷ সেখানকার বিজ্ঞানীরা লিথিয়াম থেকে দূষণ ফিল্টার করার কিছু উপায় বার করেছেন৷ ভবিষ্যতে এই কোম্পানি আরও বড় আকারে সেই কাজ করবে৷ ল্যাবের প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে কারখানায়ও হুবহু কার্যকর করা হবে৷ এএমজি লিথিয়াম কোম্পানির প্রতিনিধি রেবেকা স্পিলাউ বলেন, এখানে মেটিরিয়াল প্রেস করা হয়৷ তারপর সিলিন্ডার অত্যন্ত দ্রুত ঘোরে৷ ঘূর্ণনের সময় দ্রবণটি ফিল্টার ব্যাগ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে৷ ভেতরে শুধু নোংরা ও অশুদ্ধ অংশ থেকে যায়৷ আমার পরিষ্কার ক্রিস্টালাইজেট এখানেই থাকে৷ এটাই হলো মৌলিক প্রক্রিয়া৷ এখানেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় লিথিয়াম শোধনাগার হয়ে উঠবে৷
এখানকার কারখানা কিছু সরকারি ভরতুকি পেয়েছে৷ ইউরোপের সরকারগুলি ক্রিটিকাল মিনারেল ক্ষেত্র গড়ে তুলতে আরো অর্থের অঙ্গীকার করেছে৷ সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ক্রিটিকাল র মিনারেল্স অ্যাক্ট’ নামের আইন কার্যকর করা হয়েছে৷ সরবরাহের শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে অন্যদের উপর নির্ভরতা দূর করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউ দেশগুলোর খনি থেকেই ১০ শতাংশ উপকরণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷