নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৩৪৬ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ এক হাজার ২৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪২৮ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ১ লাখ ৪ হাজার ১০২টি শেয়ার ২ হাজার ৬০৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর এক হাজার ৪২৮ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ৬৫২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৫ লাখ এক হাজার ৯২০। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের, ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ৪৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৭৮ পয়সা (লোকসান) আর ৩০ জুন, ২০২০ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬১ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা (ঘাটতি)। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাববছরে লিবরা ইনফিউশনসের নিট বিক্রয় ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা হলেও কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
যদি কোম্পানিটি ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ টাকা অবচয় ব্যয় ধার্য করত, তাহলে কোম্পানিটির লোকসান আরও বাড়ত। আগের হিসাববছরে নিট বিক্রয় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা হলেও যেখানে কর-পরবর্তী নিট আয় হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া ৩০ জুন কোম্পানিটির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩০৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৮ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ০২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।