লিরা কিনছে পাকিস্তান ও কাতারের নাগরিকরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়া তুরস্কের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশটির মুদ্রা লিরা কিনছেন পাকিস্তান ও কাতারের নাগরিকরা। বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে ‘বাই লিরা’ বা ‘লিরা কিনুন’ শীর্ষক তিন দিনের এক ক্যাম্পেইনের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের রাজনীতিক, সুশীল সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। খবর আনাদোলু।
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে রাজধানী ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোরসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে লিরা কিনছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির রাজধানীতে এ ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে বড় আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় ইসলামাবাদ প্রেস ক্লাবে। পাকিস্তানি রাজনীতিক ও সামাজিক মাধ্যমে কর্মীরা যৌথভাবে এর আয়োজন করেন।
রাজনীতিক কাজী হুসাইন আহমেদের পুত্র ড. আসিফ লুকমান কাজী বলেন, পাকিস্তানি ও তুর্কিরা একই জাতি। তুরস্ক সবসময়ই পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এখন তাদের আমাদের প্রয়োজন। আমরাও তাদের পাশে আছি। তিনি বলেন, তুর্কি লিরা সংগ্রহ এবং তুরস্কের পণ্য কেনার এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
আজাদ কাশ্মীরের এমপি আবদুল রাশিদ তুরাবি বলেন, তুরস্কের সরকার ও জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব আইন অনুযায়ী কাজ করার অধিকার রয়েছে। অন্য দেশের ওপর হস্তক্ষেপের অধিকার কোনো দেশের নেই। সার্বভৌমত্ব রক্ষার সব অধিকার তুরস্কের রয়েছে।
স্থানীয় মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ২০০ লিরা কিনেছেন করাচির স্মল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হামিদ। তিনি বলেন, তুর্কি জনগণকে তাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে তাদের নিজেদের একা ভাবার কোনো কারণ নেই। পাকিস্তানের জনগণ তাদের পাশে আছে।
পাকিস্তানের পাশাপাশি তুর্কি লিরা কিনছেন কাতারের নাগরিকরাও। সংকট উত্তরণে গত ১৫ আগস্ট তুরস্কে এক হাজার ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ওই ঘোষণার পর আঙ্কারায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সালিম বিন মুবারাকা আল শাফি বলেন, ‘২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় যেমন কাতার তুরস্কের পাশে ছিল তেমন করে ভবিষ্যতেও তুর্কি ভাইদের পাশে থাবে কাতার। তুরস্ককে অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে বের করে আনতে কাতারের নাগরিকরা প্রচুর পরিমাণে তুর্কি লিরা কিনেছে

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০