লুব্রিক্যান্ট ব্যবসায় ইফাদ অটোস

নিজস্ব প্রতিবেদক: লুব্রিক্যান্ট ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্প্রতি গালফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইফাদ অটোস। রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের উপস্থিতিতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে। ইফাদ অটোসের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু ও গালফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক রুটেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র বিনিময় করেন।

শিল্পসংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি, মৎস্য ও কৃষি খামার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে ইফাদ গ্রুপের। ১৯৮৫ সাল থেকে ভারতের অশোক লিল্যান্ড গ্রুপের গাড়ি বাংলাদেশে বাজারজাত করছে তারা।

অন্যদিকে ১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ব্যবসা শুরু করা গালফ ইন্টারন্যাশনাল বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বাজারে নিবন্ধিত একটি খনিজ তেল কোম্পানি। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম রয়েছে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটছে বলেই বিদেশি কোম্পানিগুলো এ অঞ্চলে আগ্রহ  দেখাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের ২৪০টির বেশি কোম্পানি এদেশে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গালফ এখন নতুন করে যুক্ত হলো।’

‘বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চাঙা হওয়ার কারণে বিদেশি বিনিয়োগের হার বেড়েছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত চার মাসে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বহু বিদেশি কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করার আবেদন করেছে।’

গালফ অয়েল কর্মকর্তা ফ্রাঙ্ক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। ইফাদের সুদক্ষ মার্কেটিং টিম গালফ অয়েলের বড় বাজার তৈরিতে সক্ষম হবে বলে আশা করেন তিনি।

জানা গেছে, গালফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ৭৩টি  দেশে ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন এক কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর ৫১ শতাংশের মালিকানা রয়েছে গালফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালের কাছে। বাকি ৪৯ শতাংশের মালিকানা রয়েছে গালফ অয়েল বেনেলাক্স বিভি নেদারল্যান্ডসের কাছে।

কেম্যান আইল্যান্ডে নিবন্ধিত গালফ অয়েল বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের লুব্রিক্যান্টস গ্রিজ ও কার কেয়ার প্রোডাক্টস বাজারজাত করে থাকে। এ খাতসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী,  দেশের মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি লুব্রিক্যান্টস বা ইঞ্জিন অয়েলের বাজার রয়েছে। এ বাজারে গালফের দখলে পাঁচ-ছয় শতাংশ। বর্তমানে ইঞ্জিন অয়েলের প্রায় ৩৪ শতাংশের বাজার মবিল যমুনা লিমিটেডের (এমজেএল) বাংলাদেশের দখলে। দেশে ইঞ্জিন অয়েলের ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০