Print Date & Time : 30 June 2025 Monday 2:49 pm

লেনদেনের প্রথম দিনে রবির শেয়ারে ক্রেতার ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা থাকার কারণে বেশিরভাগ শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ কারণে বাজারে নতুন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হলে এ শেয়ার হাতছাড়া করতে যাচ্ছেন না আইপিও বিজয়ীরা। গতকাল বাজারে তালিকাভুক্ত রবি আজিয়াটার বেলায়ও তেমন ঘটনা ঘটেছে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবির লেনদেন শুরু হলেই দর ১৫ টাকায় উঠে যায়।  শুরু থেকেই এ কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতার ভিড় লক্ষ করা যায়। সেই তুলনায় বিক্রেতা ছিল খুব কম। প্রথম দিনেই এক লাখ ১৭ হাজার ১৬২টি শেয়ার হাতবদল হয় কোম্পানিটির। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রবিকে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর বিনিয়োগকারীরা রবির জন্য আবেদন করেন এবং গত ১০ ডিসেম্বর লটারি হয়। ২০ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার পাঠানো হয়।

রবি আইপিও থেকে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। সেজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়ে তারা।

এর মধ্যে রবি কর্মীদের কাছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বিক্রি করে ১৩৬ কোটি পাঁচ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা তুলেছে।

বাকি ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ ছিল যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকিটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য। আইপিওর ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৪ টাকা দিয়ে নেটওয়ার্ক পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রবির। আর আট কোটি দুই লাখ ৯ হাজার ৭৬৬ টাকা আইপিও বাবদ খরচ হবে।

২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির সম্পদমূল্য ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। গত বছর তারা মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

রবির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা, আর শেয়ারপ্রতি মুনাফা চার পয়সা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ছয় হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হলো পাঁচ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম অনুসারে লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার চালু রয়েছে রবির শেয়ারে। তাই লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম আইপিওর

অফার মূল্যের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। একইভাবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে, এর বেশি নয়।

এদিকে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের প্রথম ৩০ দিন কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে মার্জিন ঋণ না দিতে স্টক ব্রোকার্স ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্সদের নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে।