নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭২৭টি শেয়ার ২৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫০০ শতাংশ (৩০০ নগদ ও ২০০ বোনাস) ফাইনাল ডিভিডেন্ড দেয়ার ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ সমাপ্ত হিসাববছরে সর্বমোট ৮০০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। লভ্যাংশ ঘোষণার সংবাদ প্রকাশে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বা ১৯০ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৭০০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল এক হাজার ৭০০ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬১১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭৯৯ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৮২১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭৯৯ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭২৭টি শেয়ার মোট ২৬ হাজার ৩৩৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮৮ টাকা ৮৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৩ টাকা ৪৪ পয়সা।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯৮ টাকা ৮৫ পয়সা। আর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬৬ টাকা ৮৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯২ টাকা ১৫ পয়সা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৮০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ৩৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৮ কোটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার, সরকারি শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে তিন দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ৩৩ দশমিক ১০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৬ দশমিক ৩২।