নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩১ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর এক দশমিক ৯২ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে সর্বশেষ ৩০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওই দিন ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৮১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩১ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা থেকে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। কোম্পানির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছিল এক টাকা ৯৩ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। কর পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত ১২ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ২০ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৩০ টাকা ৬৬ পয়সা। ওই সময় করপরবর্তী মুনাফা হয় ১৩ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ছয় মাসে ইপিএস ছিল ৭৩ পয়সা। মুনাফা ছিল আট কোটি চার লাখ ১০ হাজার টাকা।
২০১৪ সালে ইপিএস করেছিল দুই টাকা ৪৮ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৩৩ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৯২ পয়সা ও ৩১ টাকা ১৭ পয়সা। ওই সময় করপরবর্তী মুনাফা ছিল ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৭ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি সমাপ্ত বছরে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল ২৮ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে এনএভি হয়েছে ৩১ টাকা ৬৭ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ এনএভি বেড়েছে ৩০ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে দুই কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছেন ৩০ পয়সা এবং মুনাফা হয়েছে তিন কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মোট ১১ কোটি ৫৫ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৫৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ৭৬ শতাংশ, ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
Add Comment