নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ২২ লাখ ৪০ হাজার ৪০৩টি শেয়ার ৪৪ কোটি ছয় লাখ ৬২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৮ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ২২ লাখ ৪০ হাজার ৪০৩টি শেয়ার মোট চার হাজার ২০৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৪ কোটি ছয় লাখ ৬২ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৫৫ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১২ দশমিক ৪৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ০৩।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪২ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা তিন পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৬ শতাংশ নগদ আর সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ১৫ টাকা ৭২ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৭৮ টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা ও ৭১ টাকা ৪৭ পয়সা।