মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: টানা কয়েকদিন দর বৃদ্ধির পর গতকাল নি¤œমুখী হয়েছে সিংহভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। মূলত সম্প্রতি দর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে লাভে ছিলেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। গতকাল তারা এখান থেকে মুনাফা তুলেছেন।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ছিল বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ খাত থেকে বেশি বিক্রয় আদেশ আসতে থাকে। ফলে একটা সময় দর কমে যেতে শুরু করে। ভবিষ্যতে ফান্ডগুলো আরও ভালো করতে পারে এমনটি ভেবে অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কিনে নেন। তবে বিক্রয় আদেশ বেশি থাকার কারণে দিন শেষে অধিকাংশ ফান্ডের ইউনিটদর কমে যেতে দেখা যায়। কিন্তু দর কমলেও লেনদেনে সবার শীর্ষে অবস্থান করে এ খাতটি। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ৩৪ শতাংশ।
এদিকে গতকালও খুব ভালো অবস্থানে ছিল না বিমা খাত। লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়লেও মোট লেনদেনে তেমন আধিপত্য ছিল না খাতটির। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৮ শতাংশ। কিছু দিন আগেও এ খাতে প্রতিদিনই ৪০ শতাংশের বেশি লেনদেন চোখে পড়ত। এছাড়া গতকাল ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।
অন্যদিকে আগের দিন বড় পতনের পর গতকাল কিছুটা বেড়েছে ডিএসইর সূচক। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক তিন পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে চার হাজার ৮৭১ পয়েন্টে।
এদিকে সূচক কিছুটা বাড়লেও গতকাল দিন শেষে লেনদেন অনেক কমে যায়। দিন শেষে ডিএসই মোট ৭৯০ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ১৯ কোটি টাকার শেয়ার। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।
অন্যদিকে গতকালও কম দরের শেয়ার থেকে বেশি দরের শেয়ারে আগ্রহ বেশি ছিল বিনিয়োগকারীদের। কম দরের মধ্যে শুধু ব্যতিক্রম ছিল মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। কারণ দীর্ঘদিন থেকেই সবগুলো মিউচুয়াল ফান্ড অনেক কম দরে অবস্থান করছে। গতকাল ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে দর রয়েছে এমন ধরনের শেয়ারে আগ্রহ ছিল ৫০ শতাংশ বিনিয়োগকারীর।