হাসানুজ্জামান পিয়াস: সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর কমায় চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ২২ পয়েন্ট কমে স্থির হয়েছে ছয় হাজার ৬৫৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে। পাশাপাশি বাকি দুই সূচকের পতন দেখা গেছে। একইসঙ্গে গতকাল লেনদেনে পতন দেখা গেছে। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ২৪১টির। একইভাবে ৯০টি দর বৃদ্ধি পায় এবং অপরিবর্তিত থাকে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের প্রায় ৩৫ শতাংশই ছিল দুই খাতের। এ খাত দুটি হচ্ছে বিবিধ খাত ও প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ২০ দশমিক ৬০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। এ খাতটি লেনদেনে প্রায় ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে। একইভাবে লেনদেনে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় অবস্থানে থাকে বস্ত্র খাত। এছাড়া লেনদেনে ব্যাংক খাত ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল বিবিধ খাতের মোট ১৫ কোম্পানির মধ্যে ৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর বাকি ১০টির কমেছে। প্রকৌশল খাতের মোট ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ১১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, ২৯টির দর কমেছে আর বাকি ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৮৬৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে বøক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১২২ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল ৪৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ২৮১টি শেয়ার ১০৮ বার হাতবদলের মাধ্যমে ১২২ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৬ হাজার টাকার বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ১৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের।