হাসানুজ্জামান পিয়াস: পুঁজিবাজারে ধারাবাহিকভাবে টানা তিন দিন পতনের পর গতকাল চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে প্রায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে সূচক স্থির হয়েছে ছয় হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে। তবে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও লেনেদেনে সামান্য পতন দেখা গেছে। একইসঙ্গে সূচক বৃদ্ধি পেলেও হ্রাস পেতে দেখা গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ১৮৫টির। একইভাবে ১৩০টি দর বৃদ্ধি পায় এবং অপরিবর্তিত থাকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের প্রায় ৩৫ শতাংশই ছিল তিন খাতের। এ খাত তিনটি হচ্ছে বিবিধ খাত, ওষুধ ও রসায়ন খাত এবং প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতটি লেনদেনে প্রায় ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ অবদান রাখে। একইভাবে লেনদেনে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় অবস্থানে থাকে প্রকৌশল খাত। এছাড়া লেনদেনে বস্ত্র খাত ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত মোট লেনদেনে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল বিবিধ খাতের মোট ১৫ কোম্পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর বাকি ৮টির মধ্যে ৬টির কমেছে আর দুটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ১৪টির দর বেড়েছে আর বাকি ৪টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৫২৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৩০ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল ৩৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৮৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪০৭টি শেয়ার ৫৭ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৩০ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের।
