হাসানুজ্জামান পিয়াস: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ১৪ পয়েন্ট বেড়ে সূচক স্থির হয়েছে ছয় হাজার ৭৭১ পয়েন্টে। তবে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও লেনেদেনে পতন দেখা গেছে। একইসঙ্গে সূচক বৃদ্ধি পেলেও হ্রাস পেতে দেখা গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ১৯৫টির। একইভাবে ১২৯টি দর বৃদ্ধি পায় এবং অপরিবর্তিত থাকে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের ৩৯ শতাংশই ছিল তিন খাতের। এ খাত তিনটি হচ্ছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাত, বস্ত্র ও প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। এ খাতটি লেনদেনে প্রায় ১১ শতাংশ অবদান রাখে। একইভাবে লেনদেনে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় অবস্থানে থাকে প্রকৌশল খাত। এছাড়া লেনদেনে বিমা খাত ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং আইটি খাত মোট লেনদেনে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের মোট ২২ কোম্পানির মধ্যে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর বাকি চারটির মধ্যে দুটির কমেছে আর দুটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। তবে বস্ত্র খাতের মোট ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, ১৬টির দর বেড়েছে, আর বাকি ১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৮৩৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৪২ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল ২৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৭০ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার ৫১ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৪২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন শুজ লিমিটেডের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ১৫ লাখ আট হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের।