মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও হ্রাস পেতে দেখা গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে গতকাল দর হ্রাস পায় ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। পক্ষান্তরে ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় এবং ৩১টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট লেনদেনে তিন খাতের অবদান ছিল ৪৩ শতাংশের বেশি। এ খাত তিনটি হচ্ছে ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং সিমেন্ট। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এটি মোট লেনদেনে প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। খাতটি লেনদেনে ১৩ শতাংশ অবদান রাখে। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে দেখা যায় সিমেন্ট খাতকে। এটি মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সমর্থ হয়। এছাড়া মোট লেনদেনে বস্ত্র খাত ৯ দশমিক ৬২ এবং বিবিধ খাত আট শতাংশের বেশি অবদান রাখে। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে দুই হাজার ৬৮১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৪৭ কোটি টাকার বেশি। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৬টি শেয়ার ১০৯ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৪২ কোটি ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ছয় কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জিপিএইচ ইস্পাতের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।