হাসানুজ্জামান পিয়াস: গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও গতকাল চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আবারও পতনের চিত্র দেখা গেছে। সম্প্রতি বাজারে একদিকে ক্রেতা সংকট, অন্যদিকে বিক্রয় চাপের ফলে বাজারের গতি নি¤œমুখী লক্ষ করা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৬০ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনে পতন হয়েছে। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ২৩০টির। একইভাবে ৯৪টি দর বৃদ্ধি পায় এবং অপরিবর্তিত থাকে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের প্রায় ৪৩ শতাংশই ছিল তিন খাতের। এ খাত তিনটি হচ্ছে বস্ত্র খাত, প্রকৌশল খাত এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। এ খাতটি লেনদেনে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ অবদান রাখে। একইভাবে লেনদেনে ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় অবস্থানে থাকে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এছাড়া লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাত ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং বিবিধ খাত মোট লেনদেনে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল বস্ত্র খাতের মোট ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ২২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর বাকি ৩৬টির মধ্যে ২৩টির কমেছে, আর ১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। প্রকৌশল খাতের মোট ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, আটটির দর বেড়েছে, আর বাকি চারটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৫০ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর এক কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৮টি শেয়ার ৭৫ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৫০ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ১০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে রেনাটা লিমিটেডের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ সাত কোটি সাত লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে সালভো কেমিক্যাল লিমিটেডের।