হাসানুজ্জামান পিয়াস: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ২০ পয়েন্ট কমে সূচক স্থির হয়েছে ছয় হাজার ৩০৪ পয়েন্টে। তবে সূচকের পতন হলেও লেনেদেন বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে হ্রাস পেতে দেখা গেছে ৬২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ২৩৬টির। একইভাবে ৯৯টি দর বৃদ্ধি পায় এবং অপরিবর্তিত থাকে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের অর্ধেকের বেশি তথা ৫১ শতাংশ ছিল চার খাতের দখলে। এ খাত চারটি হচ্ছে বস্ত্র খাত, বিবিধ খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এবং প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে প্রায় ১৬ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। এ খাতটি লেনদেনে প্রায় ১৩ শতাংশ অবদান রাখে। একইভাবে লেনদেনে ১২ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় অবস্থানে থাকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এছাড়া লেনদেনে প্রকৌশল খাত ১০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল বস্ত্র খাতের মোট ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর বাকি ৪৮টির মধ্যে ৪৪টির কমেছে আর চারটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। তবে বিবিধ খাতের মোট ১৫টি কোম্পানির মধ্যে সাতটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, আটটির দর বেড়েছে।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৫৯৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১২ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল ৩৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ২৬ লাখ ছয় হাজার ৮২৬টি শেয়ার ৪৯ বার হাতবদলের মাধ্যমে ১২ কোটি ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ তিন কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের।