লেনদেনে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে সেবা ও আবাসন খাতের ৪ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারের লেনদেনে গত সপ্তাহে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের চারটি কোম্পানি। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড।

তথ্যমতে, সেবা ও আবাসন খাতের চারটি প্রতিষ্ঠান দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৯ শতাংশ কমেছে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের, যা সেবা ও আবাসন খাতের মোট লেনদেনের সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ। কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ ৪৯ টাকা ৬০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে।

এদিকে সাইফ পাওয়ারটেক গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থায় উঠে এসেছে। কোম্পানিটির আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশ। সেবা ও আবাসন খাতের মোট লেনদেনের মধ্যে ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ সাইফ পাওয়াটেকের। কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ ৪২ টাকা ২০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে যদি কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে না পারে, সেক্ষেত্রে ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগ্রহ হারায় অনেকেই। এতে শেয়ার বেচাকেনায় মন্দা ভাব দেখা দেয়। এ কারণে লেনদেনও কমে যায়। তবে যদি একটি কোম্পানি কোনো কারণে তাদের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে তুলতে পারে, সেই শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই কোম্পানির শেয়ারে ঝুঁকতে থাকে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পাানির শেয়ারের দর বেড়ে যায়। এতে লেনদেনের ভলিওম বেড়ে যায়।

তারা আরও বলেন, সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। যা পান তাও তুলনামূলকভাবে নগণ্য। আর এ কারণেই এ খাতের কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম।

এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে কী পাবে সেটা চিন্তা করেন বিনিয়োগকারীরা। সেবা ও আবাসন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেছে। কারণ তারা বিগত দিনে বিনিয়োগকারীদের ভালো কিছু দিতে পারেননি। তাদের ব্যবসাই মন্দা যাচ্ছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানির প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। ফলে লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এ খাতে।

এদিকে শমরিতা হাসপাতাল লেনদেনের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ৭৬ শতাংশ। সেবা ও আবাসন খাতের মোট লেনদেনের মধ্যে দুই দশমিক ১৩ শতাংশ শমরিতা হাসপাতালের। প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ ৮১ দশমিক ৯০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। এদিকে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৩ শতাংশ কমেছে। সেবা ও আবাসন খাতের মোট লেনদেনের মধ্যে কোম্পানিটির ছিল ছয় দশমিক ৮৯ শতাংশ। কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৪১ টাকা ৪০ পয়সা বেচাকেনা হয়েছে।