মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সম্প্রতি পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় বিনিয়োগকারীরাও বাজারে ফিরে আসছেন। তবে বাজারে ফিরে সতর্ক হয়ে বিনিয়োগ করছেন তারা। এক্ষেত্রে খুব বেশি দামি শেয়ারে বিনিয়োগ না করে কম মূল্যের শেয়ারে নজর দেখা যাচ্ছে তাদের। তবে কোম্পানি বাছাইয়ের বেলায় দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী। স্বল্পসংখ্যক বিনিয়োগকারী দুর্বল কোম্পানির সঙ্গে থাকলেও আর্থিকভাবে ভালো ও শেয়ারদর কম এমন কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করছেন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়। এদিন সকাল থেকেই ১০ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে দর এমন শেয়ারের চাহিদা বেশি দেখা যায়। বেশি দামি শেয়ারের চেয়ে এই ধরনের কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হতে দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের। এ কারণে গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা দর এমন শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৫ শতাংশের বেশি।
এই ধরনের কোম্পানিতে আগ্রহী হওয়ার প্রধান কারণ এখন বেশি দরের শেয়ারে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। কারণ অধিকাংশ দামি শেয়ারে বিনিয়োগে ঝুঁকিও বেশি। সেই তুলনায় কম দরের শেয়ারই নিরাপদ। এ জন্য এসব শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এদিকে গতকাল সপ্তাহের শেষ দিনে খাতভিত্তিক লেনদেনের চেয়ে কোম্পানির বিচারেই বিনিয়োগকারীদের বেশি লেনদেন করতে দেখা গেছে। এদিন একক আধিপত্য দেখা যায়নি কোনো খাতের। তবে তুলনামূলকভাবে অন্য খাতের চেয়ে এগিয়ে ছিল প্রকৌশল খাত। এছাড়া সিমেন্ট খাতের কোম্পানিতেও বিনিয়োগকারীদের নজর দেখতে পাওয়া যায়। গতকালের লেনদেনে এই খাতের সাতটি কোম্পানির মোট লেনদেনে অবদান ছিল পাঁচ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে গতকাল লেনদেনও কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৯০৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি গতকাল সূচকও সন্তোষজনকহারে বাড়ে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ৪৫ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৮৭৩ পয়েন্টে।
এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে লেনদেন আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। গতকাল এই মার্কেটে মোট ৫২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এই মার্কেটে গতকাল মোট ২৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়, যার বেশিভাগই ছিল বিমা খাতের কোম্পানি।