মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ : সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষে হয়েছে। দিন শেষে ১৬ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে সূচকের অবস্থান হয়েছে সাত হাজার ২৪১ পয়েন্টে। পাশাপাশি হ্রাস পেতে দেখা যায় লেনদেন হওয়া সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পেয়েছে ২০৯টির। একই ভাবে ১২৫টির দর বাড়ে। অপরিবর্তিত থাকে ৪২টির শেয়ারদর।
গতকাল সূচক হ্রাসের দিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার। অন্যান্য খাতের তুলনায় এ খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল কিছুটা বেশি। এ কারণে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। এর জের ধরে দিন শেষে মোট লেনদেনে শীর্ষে ওঠে আসে এ খাত। লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা যায় প্রায় ১৯ শতাংশ।
লেনদেনে এর পরের অবস্থানে দেখা যায় বিমা খাতকে। মোট লেনদেনে খাতটি এককভাবে ১৫ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সমর্থ হয়। এ দুটি খাত ছাড়া অন্য কোনো খাত লেনদেনে এককভাবে ১০ শতাংশ অবদান রাখতে পারেনি। অন্যান্য খাতের মধ্যে লেনদেনে প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত আলাদাভাবে ৯ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সমর্থ হয়।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ১৭৪ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল মোট ৪০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর দুই কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৭টি শেয়ার ৭০ বার হাতবদলের মাধ্যমে ১৭৪ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৮০ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এনভয় টেক্সটাইলের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর।
