নিজস্ব প্রতিবেদক: দু’দিনের বিরতি দিয়ে গতকাল আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। গতকাল পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বাড়তে দেখা গেছে ১৫১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট এবং শেয়ারদর। লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক খাতের।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গতকাল মোট লেনদেনের ৪৩ শতাংশই ছিল ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ দুই খাতের শেয়ার। অন্যসব খাতের তুলনায় কিছুটা চড়া দরে এসব শেয়ার ক্রয় করেন বিনিয়োগকারীরা, যার জের ধরে দিন শেষে লেনদেনে সবার শীর্ষে ওঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২৮ শতাংশ।
এদিকে ওষুধ ও রসায়ন খাতের পর লেনদেনে দাপট দেখা যায় ব্যাংক খাতের। তুলনামূলকভাবে এ খাতের শেয়ারদর কম হওয়ায় খাতটি ঝুঁকে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল বড় বড় হাওলার বেশিরভাগই ছিল ব্যাংক খাতের। কারণ দর কম থাকায় বিনিয়োগকারী এ খাতের কোম্পানির শেয়ার বেশি করে কিনেছেন। ফলে বেড়েছে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৫ শতাংশ।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে গতকাল বিবিধ খাতের কোম্পানিগুলোর সন্তোষজনক লেনদেন দেখতে পাওয়া যায়। অনেক দিন পর বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ নিয়ে এ খাতের শেয়ার ক্রয় করেন। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনও বাড়তে দেখা গেছে। গতকাল ডিএসইতে মোট এক হাজার ১৪৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। একইভাবে লেনদেন বৃদ্ধির পাওয়ার পাশাপাশি গতকাল সন্তোষজনক হারে বাড়তে দেখা যায় ডিএসইর প্রধান সূচক। এদিন সূচক বাড়ে প্রায় দেড় শতাংশ। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ৬৯ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয় চার হাজার ৭৮৯ পয়েন্টে।
এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটের লেনদেন আরও কমে যেতে দেখা গেছে। এদিন ডিএসইতে মাত্র ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে অংশগ্রহণ করে ২৯টি কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ সাড়ে সাত কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিএসআরএম লিমিটেডের।