Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 1:08 am

লেনদেনে শীর্ষে থাকা বস্ত্র খাতে কেনার চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে নামমাত্র সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে নামমাত্র সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় শেয়ারদর বেশি বেড়েছে বস্ত্র খাতের। এদিন কেনার চাপ থাকায় খাতটি লেনদেনেও শীর্ষ অবস্থানে ছিল। অপরদিকে এদিন সূচক বৃদ্ধিতেও বিনিয়োগকারীরা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে বিমুখ ছিলেন। এতে খাতটিতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বস্ত্র খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, ৬টির কমেছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, পাট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশলী খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারটিতে ৩৭২ প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬৩টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৮৯০ কোটি ৬৯  লাখ ৭২ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬০০ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেড়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩টির। বিপরীতে কমেছে ১০৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ২২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৬৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭২২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের।