Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:58 am

লেনদেনে শীর্ষ বিমায় পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বস্ত্র খাতের শেয়ারে। এতে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। এছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা বিমা খাতের শেয়ারদরও কমেছে গতকাল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বস্ত্র খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, চারটির কমেছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশলী খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এরপর ২ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল বিমা খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা জ্বালানি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে এক হাজার ২৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর গতকালের চেয়ে বেশি বা এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭১টির এবং কমেছে ১১১টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৭৯টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ৭৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৯৩টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে। এর আগে সিএসইতে ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে।