লেনদেন কমেছে ব্যাংক খাতে বেড়েছে মিউচুয়াল ফান্ডে

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সূচক শেয়ার দর ও লেনদেনে সামান্য ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। আগের দিন বিমা খাতে বিক্রির চাপ থাকলেও গতকাল ছিল কেনার চাপ। অন্যদিকে গতকাল এক লাফে ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে পাঁচ শতাংশ। অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ডের রি ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট বা বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়ার বিধান বাতিল করায় গতকাল এ খাতে লেনদেন ও দর বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগকারীদের এ খাত নিয়ে আশাবাদী হতে দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে দেখা যেত, বিমা খাত বাড়লে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে দরপতন হতো। আর মিউচুয়াল ফান্ড ইতিবাচক হলে বিমা খাত নেতিবাচক থাকতো। গতকাল দুই খাতেই ইতিবাচক গতি দেখা গেছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ বা সাড়ে ৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে ৭০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে এক টাকা। ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের প্রায় সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। মিউচুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতের একটি মাত্র ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দর। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে পাঁচটি ফান্ড। এরপরে প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০ শতাংশ করে লেনদেন হয়। প্রকৌশল খাতে ৫০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ন্যাশনাল পলিমারের সাড়ে ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ১০ পয়সা। ওষুধ খাতে ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া ৯ শতাংশ বেড়ে সিলকো ফার্মা ও সোয়া আট শতাংশ বেড়ে সিলভা ফার্মা দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। সিলকো ফার্মার প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়। জেএমআই সিরিঞ্জের সোয়া ছয় কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৬০ পয়সা দরপতন হয়। জ্বালানি খাতে মাত্র আট শতাংশ লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩১ শতাংশ কোম্পানির। ইউনাইটেড পাওয়ারের সাড়ে ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে চার টাকা ৪০ পয়সা। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের দর ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বস্ত্র খাতে ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বিবিধ খাতে ৪৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় এক টাকা ১০ পয়সা। বিএসসির সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। সাড়ে সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও গ্রামীণফোনের দরপতন হয় দুই টাকা ২০ পয়সা। টেলিযোগাযোগ ও পাট খাত শতভাগ নেতিবাচক এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০