লেনদেন কমে ৫০০ কোটিতে পতনেও দুই খাতে কেনার চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। গতকাল রোববারে পতনেও দুই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও? কেনার চাপ বেশি থাকায় দর বেড়েছে। এদিন চাহিদার শীর্ষে রয়েছে বিমা খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। এ কারণে শেয়ার বিক্রির চাপে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এই খাতে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৮টির দর বেড়েছে এবং ৩২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাত। খাতটিতে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, পাট এবং আর্থিক খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের। খাতটিতে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এদিন দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। এ খাতে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমায় তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ দর কমেছে।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রোববার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানির মধ্যে ১৩১টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অর্থাৎ তিনগুণ পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক ৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে।

এদিন ৩০০টি কোম্পানির ১১ কোটি ৭০ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৫৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০০ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার টাকার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।

এর পরের তালিকায় ছিল যথাক্রমে রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের শেয়ার।

আরেক পুঁজিবাজার সিএসই’র প্রধান সূচক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৭৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৫ টাকার শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০