লেনদেন ছাড়িয়েছে সাড়ে ৭০০ কোটি, বড় উত্থান পাট খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ঈদের পরের তৃতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল বুধবার সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। সেই সঙ্গে এ খাতের শেয়ারদরে বড় উত্থান হয়েছে। অপরদিকে এদিন উত্থানেও বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন জীবন বিমা খাতে। ফলে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল এ খাতে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। খাতটিতে মোট পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল সিমেন্ট খাত। এ ছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সাধারণ বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, আইটি এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় জীবন বিমা খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। এরপর রয়েছে ট্যানারি খাতের শেয়ার। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার  লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৬৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।

এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ২৮ পয়েন্ট  এবং ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১৩ দশমিক ২১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৪টির এবং কমেছে ৭২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১২টির।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন ১১ কোটি তিন লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৪৪টির ও পরিবর্তন হয়নি ৭২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৫১ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৫৬ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩১৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০