Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:11 am

লেনদেন দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে জ্বালানি ও বিমা খাত

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে লেনদেনে পতন অব্যাহত গতিতে চলছেই। গতকাল সূচকের বারবার ওঠানামা সত্ত্বেও বাজার সমান্তরাল গতিতে ছিল। প্রায় সমানসংখ্যক কোম্পানির দর উত্থান ও পতনে ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক সামান্য ইতিবাচক ছিল। অন্য দুটি সূচকে সামান্য পতন হয়। গতকাল বৃহৎ খাতগুলোয় কেনার চাপ বেশি ছিল। তবে ছোট খাতগুলোয় ছিল বিক্রির চাপ। লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। অন্যদিকে দরবৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল বিমা খাত। পাট ও কাগজ খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল। এছাড়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, সিরামিক, চামড়া শিল্প, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিক্রির চাপে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়। অন্যদিকে ব্যাংক খাতে বেশিরভাগ শেয়ারের দর ইতিবাচক থাকায় সূচক নেতিবাচক হতে পারেনি।

শীর্ষে উঠে আসা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ বা ৬৩ কোটি টাকা। আগের দিনের তুলনায় এ খাতে লেনদেন বেড়েছে সাত শতাংশ। বাজারে নেতৃত্ব দেয় এ খাতের ইউনাইটেড পাওয়ার। কোম্পানিটির সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে প্রায় আট টাকা। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে তিন টাকা ৭০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৪৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সিঙ্গার বিডির সাড়ে ১৪ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয়। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৪২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। জেএমআই সিরিঞ্জের ৯ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দর কমেছে সাড়ে পাঁচ টাকা। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৫৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের ছয় কোটি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয়। বিমা খাতে ৭৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকার ৯০ শতাংশ ছিল এ খাতের দখলে। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স ও নর্দান ইন্স্যুরেন্স শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। সিমেন্ট খাতে ৭১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। টেলিযোগাযোগ খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল্সের ১২ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে সাড়ে আট টাকা। গ্রামীণফোনের সাড়ে আট কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয়। খাদ্য খাতে ৫৮ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। সাড়ে ২৬ কোটি টাকা লেনদেন হলেও প্রায় ৫৯ টাকা দরপতন হয় বিএটিবিসির।