লেনদেন দুই-তৃতীয়াংশ কমা স্বাভাবিক নয়

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজার মন্দাবস্থায় কাটালো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও। মাত্র সাত কার্যদিবস আগেও লেনদেন এক হাজার ৫০০ কোটির ওপরে ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৬০০ কোটির ঘরে। লেনদেনের এই কমাকে স্বাভাবিক বলা যায় না, কারণ পুঁজিবাজার সংশোধন হতে পারে। সূচকের পাশাপাশি শেয়ারের দরপতন হবে। এক খাত থেকে পুঁজি অন্য খাতে প্রবাহিত হবে। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে সে চিত্র দেখা যায় না। বরং এক খাত থেকে মুনাফা তুলে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন বড় বিনিয়োগকারীরা। ফলে লেনদেন কমে যায় আশঙ্কাজনক হারে। এতে বাজারের প্রতি আস্থা কমে যায় সাধারণ বিনিয়োগকারীর। বাজারের স্বার্থেই পুঁজিবাজারের সংশোধন প্রয়োজন, কিন্তু লেনদেন এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসাটা স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের লক্ষণ নয়।

গতকাল ব্যাংক খাতের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল। তবে লেনদেন কমেছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি। সূচকের বৃদ্ধিতে প্রধান ভ‚মিকা রেখেছে ব্যাংক খাত। এ খাতে গতকাল প্রায় ৯৭ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। পাশাপাশি আর্থিক খাত ইতিবাচক ছিল ৬০ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য, বস্ত্র, বিমা ও সিমেন্ট খাত কিছুটা ইতিবাচক ছিল। লেনদেন হওয়া ৩৩১টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯ দশমিক ছয় শতাংশ ইতিবাচক ছিল এবং ৪৮ দশমিক তিন শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। ব্যাংক খাতে ২৯১ কোটি টাকার লেনদেন হয়। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬৬ কোটি টাকার। গতকাল এ খাতে লেনদেন কমেছে ৭৫ কোটি টাকা। তা সত্তে¡ও ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশ। এ খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৯টির দরই বেড়েছে। কমেছে একমাত্র রূপালী ব্যাংকের। টানা তিন দিন বৃদ্ধির পর গতকাল শেয়ারটির দর সংশোধিত হয়। টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। শেয়ারটির দর বেড়েছে ছয় দশমিক ৮৬ শতাংশ। এছাড়া পূবালী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক এ তালিকায় উঠে আসে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় মাত্র ৫০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের আট শতাংশ। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় ৪১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের মাত্র সাত শতাংশ। আর্থিক ও বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ছয় শতাংশ করে। আর্থিক খাতের এফএএস ফিন্যান্স এবং বস্ত্র খাতের ইভিন্স টেক্সটাইল ও ড্রাগন সোয়েটার দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে। লেনদেনের নেতৃত্বে থাকা অধিকাংশই ছিল ব্যাংক। এর মধ্যে শাহজালাল ব্যাংকের প্রায় ৩৭ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংকের ৩০ কোটি, যমুনা ব্যাংকের ২৪ কোটি, এনবিএলের ২০ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৯ কোটি, এক্সিম ব্যাংকের ১৮ কোটি ও লংকাবাংলার ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল সূচক ইতিবাচক করতে মূল ভ‚মিকা রাখে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০