নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও ৫০০ কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচক উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন বিমা খাতে। ফলে এই খাতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল। এদিন পতনে শুধু দুই খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, বিবিধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা আইটি খাতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া কাগজ ও মুদ্রণ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারে ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৭১৫ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন দাম বেড়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ১৪২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৬টির।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক চার পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৭৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টির দাম। দিনশেষে সিএসইতে ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।