জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:এক কার্যদিবস লেনদেনে গতি আসার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার খরা দেখা দিয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমে অর্ধেকে চলে এসেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। অথচ এক কার্যদিবস আগেই লেনদেন বেড়ে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে ওঠে। লেনদেন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে সবকটি সূচক। তবে দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ বাজারটিতেও দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টা ধারাবাহিকভাবে বাড়ে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। এতে লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে কমে মূল্যসূচকও। অবশ্য এরপরও দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬২টির। আর ১৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এক পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেকে চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৪৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৮৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
লেনদেন খরার বাজারে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ১১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এমারেল্ড অয়েলের ১৫ কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑখুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যাসেফিক ডেনিমস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, এসকে ট্রিমস ও কনটিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই পাঁচ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৭টির এবং ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।