Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 8:24 pm

লেনদেন ৪৫০ কোটির নিচে আইটি ও ভ্রমণ খাতে ক্রয় চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। এছাড়া আইটি খাতেও দর বেড়েছে। খাতটি দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল। অপরদিকে এদিন উত্থানেও শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতটিতে শেয়ারদর বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে সাতটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ৭০  শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল জীবন বিমা খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সিরামিক, বিবিধ এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে দুই শতাংশ। এরপর রয়েছে সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৩ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৮টি এবং কমেছে ৫৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০৮টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ১২ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ২৮টির, কমেছে ৩১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৫টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪০ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৯৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে ও ১০ হাজার ৯৯২ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫১ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।