লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত ফটিকছড়ির কারিগররা

ওবাইদুল আকবর রুবেল, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম): শীত জেঁকে বসার আগেই চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হাটবাজারগুলোয় লেপ-তোশক তৈরির ধুম পড়ে গেছে। ক্রেতারা লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় করছেন। এ কারণে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফটিকছড়ির কারিগররা।

গত কয়েক দিনে বেড়েছে হিমেল হাওয়া। সকালে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পুরো উপজেলা। বিকাল থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের আগমনের সঙ্গে অনেকে মোটা পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন, কারণ কনকনে শীতে লেপ-তোশক ও কাঁথা-কম্বলই ভরসা। তাই ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছেন লেপ-তোশকের দোকানে। লেপ-তোশকের দোকানগুলোয় বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা।

কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে শীতজুড়ে। শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোশক তৈরি ও বিক্রি আরও বাড়বেÑএমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। বছরের অন্যান্য সময় মন্দা থাকলেও শীতের মৌসুমে বেশ চাঙা এ ব্যবসা।

কারিগররা জানিয়েছেন, রেডিমেড লেপ-তোশকের চেয়ে ক্রেতারা পছন্দমতো লেপ-তোশক তৈরি করতে দিচ্ছেন বেশি।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদর বিবিরহাট, নাজিরহাট, কাজিরহাটসহ ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় লেপ-তোশক তৈরির মালিক ও কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানগুলোয় বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। নাজিরহাট বাজারের কারিগর মো. আমান (২৬) জানিয়েছেন, দিন যত গড়াচ্ছে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন লেপ-তোশকের দোকানে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন নতুন লেপ-তোশক বানাতে।

পাইন্দংয়ে বৃন্দাবনহাটের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী মো. রুবেল জানান, প্রতিবছর শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২টি লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছি।

বিবিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল জানান, এখন শিমুল তুলা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কার্পাস তুলা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। গার্মেন্টের তুলা ৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা দরে লেপ বিক্রি করছি। বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো। অনেকে দোকানে বসে থেকে তাদের পছন্দের লেপ-তোশক তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০