শেয়ার বিজ ডেস্ক: পেজার-বোমা হামলায় নিহত কয়েকজনের জন্য শোক জানাতে বৈরুতের দক্ষিণাংশের দাহিইতে লোকজন জড়ো হওয়ার পর ঘটা একটি বিস্ফোরণে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিওতে বিস্ফোরণটি ধরা পড়েছে, তাতে দেখা যায় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছে আর মানুষজনকে আতঙ্কিত দেখাচ্ছে, কয়েকজন চিৎকার করছেন, দৌড়ে সরে যাচ্ছেন। এগুলোর সবই আগেরদিন পেজার বিস্ফোরণে নিহত এক ১১ বছরের বালক ও হিজবুল্লাহর তিন সদস্যের জানাজার কিছুক্ষণ আগে ঘটে।
ওই রাস্তার পুরোটাজুড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ প্রতিধ্বনিত হতে আশপাশের এলাকাজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। শ্লোগান থেমে যায়। যারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন একে অপরে দিকে তাকান, তাদের কারও কারও চোখে আতঙ্কিত বিস্ময়। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে, এটি বিস্ফোরণের দ্বিতীয় আরেকটি ঢেউ যার লক্ষ্য ওয়াকিটকি, কোনো ইলেকট্রনিক সরঞ্জামকেই তখন আর নিরাপদ বিবেচনা করা হচ্ছিল না।
হিজবুল্লাহর সমর্থকরা তাদের সাংবাদিকদের দলটিকে বেশ কয়েকবার থামিয়ে দাবি করে, তারা যেন তাদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার না করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৪৫০ জন আহত হয়েছেন। এসব বিস্ফোরণে বহু বাড়ি, দোকান ও গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ইতোমধ্যেই সর্বশেষ এই হামলাগুলোকে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর জন্য আরেকটি লাঞ্ছনা হিসেবে দেখা হচ্ছে আর সম্ভাব্য ইঙ্গিত হচ্ছে, তাদের সমস্ত যোগাযোগ নেটওয়ার্কে সম্ভবত ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ ঘটেছে।সেখানে অনেক মানুষ অনিবার্য বিস্ময় নিয়ে ভাবছে, এরপর কী আসছে।
একদিন আগে একযোগে চালানো হামলায় সারা লেবাননজুড়ে কয়েক হাজার পেজার বিস্ফোরিত হয়। ব্যবহারকারীরা পেজারে আসা একটি বার্তা গ্রহণ করতে গেলে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বার্তাটি হিজবুল্লাহর কাছ থেকে এসেছে বলে মনে করেছিলেন তারা। লোকজন যখন দোকানে অথবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে ছিল তখন এসব বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আট বছরের এক বালিকা ও ১১ বছরের এক বালকসহ ১২ জন নিহত ও প্রায় ২৮০০ জন আহত হন। এই ঘটনায় সবাই শোকাচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি পুরো দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।