শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে লেবাননে ক্রমে বাড়ছে শরণার্থীর সংখ্যা। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১০ দিনে দেশটির ৩ লাখের বেশি মানুষ সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলের হামলার জেরে এখন পর্যন্ত ক্ষতির শিকার হয়েছে লেবাননের ১২ লাখ মানুষ। খবর: এবিসি নিউজ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের ভূখণ্ডে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৬১ জন নারী ও ১২৭ শিশু রয়েছে। শুক্রবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১৫১।
ইসরায়েলের আক্রমণ দেশটির অবকাঠামো এবং বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর বিপর্যয় ডেকে আনছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। লেবাননে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে পরিস্থিতিকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের লেবানন কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনিফার মুরহেড। জেনিফার বলেন, অব্যাহত হামলার কারণে মানসিক যে ট্রমার মধ্যে দিয়ে কোমলমতি শিশুদের যেতে হচ্ছে সেটি খুবই অমানবিক।
এখনো আকাশ ও স্থলপথে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৈরুতসহ দেশের সীমান্ত এলাকায়ও লাগাতার বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে যার ফলে বেসামরিক মানুষ চরম বিপদে পড়েছেন। লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যে একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে ব্যাপক হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে এই পথে সিরিয়া পাড়ি দিচ্ছেন লেবাননের বেসামরিক নাগরিকরা।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে উদ্বাস্তু পরিস্থিতি পৌঁছেছে সর্বোচ্চ খারাপ পর্যায়ে। বেসামরিক স্থাপনাগুলোয় বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান। যার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এখন চরমে।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর লেবাননের প্রায় ৯০০টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিলো বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে হামলার কারণে আশ্রয় প্রার্থী মানুষের ভিড়ে সেগুলোয় আর জায়গা নেই। ফলে অনেককে এখন উন্মুক্ত স্থান, রাস্তা ও পার্কগুলোয় রাত কাটাতে হচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই ক্রসিং দিয়ে সবচেয়ে কম খরচে এবং সহজে লেবাননে পণ্য আনা সম্ভব ছিল। ইসরায়েলের আক্রমণ এসব সুযোগকে প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সীমান্তের অন্যান্য রাস্তাগুলোও বন্ধ হয়ে গেলে মানবিক সহায়তা এবং মানুষের নিরাপত্তা আরও বিপন্ন হয়ে পড়বে।