নিয়মিত লেবুপানি পান করলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। এর গন্ধ স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে। ফলে খিটখিটে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। লেবুতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সাইট্রিক এসিড, ফাইবার প্রভৃতি। এটি উদ্ভিজ্জ যৌগ, খনিজ ও দেহের জন্য প্রয়োজনীয় তেলে ভরপুর।
# একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লেবুপানি পান করলে লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক বের হয়ে যায়। ফলে লিভারের অনেক সমস্যার সমাধান হয়
স লেবুতে রয়েছে ক্যানসারবিরোধী ২২ ধরনের যৌগ, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার
স এর খাদ্য উপাদান দেহের পুষ্টি ঘাটতি দূর করে শক্তপোক্ত রাখে
# সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবুপানি পান করার ফলে দেহের পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ফলে ভেতর ও বাইরে থেকে শরীর চাঙা হয়। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
# টিবি’র চিকিৎসায় ব্যবহƒত ওষুধের সঙ্গে লেবুর মতো ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল খেলে ওষুধের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
# এর ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
# শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে
# রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
স লেবুর সাইট্রিক এসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামে পাথর গঠনে বাধা দেয়। এ এসিড কোলন, পিত্তথলি ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সহায়তা করে
# মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করতে লেবুর রস পান করুন
# মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও দাঁতের যন্ত্রণা দূরে রাখতে লেবুপানি পান করতে পারেন
# লেবুর রস চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের নানা অসুখ দূর করে
স গর্ভবতী নারীদের বিশেষ উপকারী লেবুপানি। গর্ভবতীর পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে
# রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিতে পারেন। এতে অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ
# ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এর। বিশেষ করে ব্ল্যাক হেডস, ব্রন ও বলিরেখা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার
# ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি পান না করে লেবুপানি পান করুন। এছাড়া দিন ও রাতে যে কোনো সময় ক্লান্তিবোধ করলে এক গ্লাস লেবুর শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।