নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া ও বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রার্থীদের সমান সুযোগ সৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশন এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। নির্বাচনে প্রচারণার চতুর্থ দিন গতকাল শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, আমাদের প্রচার অভিযানে সরকারদলীয় প্রার্থী বাধা সৃষ্টি করেছে, বিভিন্ন জায়গায় হামলা করা হচ্ছে, আমাদের কাউন্সিলরদের বাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে; তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, প্রচারের মাইক ছিনতাই করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভোট ডাকাতির সরকার ও তার পদলেহী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। তবুও আমরা একটি গণতান্ত্রিক উদার রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।’
দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোশাররফ বলেন, নির্বাচনী আইনে রঙিন পোস্টার ও দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ থাকলেও দেয়ালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মানছে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট হলে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির দুই মেয়র প্রার্থীসহ দলীয় সমর্থিত কাউন্সিলররা বিজয়ী হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। কিন্তু এখনও সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকাবাসী যেন নিজের ভোট নিজের হাতে দিতে পারে, সে পরিবেশের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। জনগণ নিজের হাতে ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। আমরা ইভিএম মানি না। তাই ইভিএম বাতিল করে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ সরকারদলীয় প্রার্থীরা বিএনপির প্রচারে বাধা দিচ্ছে বলে দাবি করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘হামলাও করা হচ্ছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়িতে আক্রমণ ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রচারের মাইক ছিনতাই করা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ ঢাকাকে বিষাক্ত নগরীতে পরিণত করেছে। সে জন্য জনগণ আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিতে চায়। আমরা জানি, ঢাকাবাসী সরকারের ওপর বিক্ষুব্ধ ও তারা পরিবর্তন চান। সে পরিবর্তনের স্বার্থে আপনারা কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। যত ষড়যন্ত্র ও যত রকমের বাধা থাকুক না কেন, তা উপেক্ষা করে; দয়া করে ভোটকেন্দ্রে এসে পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবেন।