Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 2:52 pm

‘লে-অফেও’ বেতন পাবে লাফার্জহোলসিমের কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে দেশে। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রয়েছে। এবার ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ অর্থাৎ ‘লে-অফ’ ঘোষণা করলো বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি মাসের ১২ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই লে-অফ চলবে। সাধারণত কাঁচামালের স্বল্পতা, পণ্য অবিক্রিত থাকা, মজুদ বেশি হওয়া বা অন্য কোনো কারণে উৎপাদন বন্ধ রাখার নাম হচ্ছে লে-অফ। যা বাংলাদেশের শ্রম আইনে স্বীকৃতি রয়েছে। অনিবার্য কারণবশত এই সময়ে শ্রমিককে কাজ দিতে পারে না কোম্পানি।

তবে জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে শ্রমঘণ এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজ না করলেও এই মাসের (এপ্রিল) পুরো বেতন কর্মচারি-শ্রমিকদের দিবে কোম্পানিটি।

কোম্পানি বলছে, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে ১২ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানির সব কর্মীকে মার্চ মাসের বেতন এবং ২০১৯ সালের জন্য বিশেষ বোনাস ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের শ্রম আইন মোতাবেক, কোনো কোম্পানির লে-অফ চলাকালীন সময়ের প্রথম ৪৫ দিনের ক্ষেত্রে শ্রমিকের (পূর্ণকালীন) মোট মূল মজুরি ও মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক দিতে হয় মালিককে। পরের ১৫ দিনের জন্য শ্রমিকরা পাবেন মূল বেতনের ২৫ শতাংশ এবং বাড়ি ভাড়া।

অবশ্য বহুজাতিক এ কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে এপ্রিল মাসের পুরো বেতন ও অন্যান্য প্রাপ্যাদি পরিশোধ করা হবে।

প্রসঙ্গত, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশে সিমেন্ট উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় একটি কোম্পানি। বর্তমানে এর কর্মী সংখ্যা ৩ হাজারের মতো। ২০০৩ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয় কোম্পানিটি। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার ৩৭ টাকায় হাত-বদল হয়।