Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:10 pm

লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি লোকসানে থাকলেও চলতি বছরে মুনাফায় ফিরেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১০ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ২১ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭১ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ০১ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৮১ পয়সা (লোকসান) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে চার পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৬১ পয়সা  (লোকসান) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা (লোকসান), আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬ পয়সা (লোকসান) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়নি।

বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ৩৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।