লোডশেডিংয়ে নাকাল নোয়াখালী

প্রতিনিধি, নোয়াখালী : প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। গরমের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। নোয়াখালীও এর ব্যতিক্রম নয়। রোদের তীব্রতায় ঘরের বাইরে যাওয়া যেমন অসম্ভব হয়ে পড়ছে, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঘরের ভেতরে থাকাটাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

সরকার ঘোষিত ১-২ ঘণ্টার লোডশেডিং কখনো কখনো ১২ ঘণ্টায়ও শেষ হয় না। প্রতি এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায় আর আসে দেড়-দুই ঘণ্টা পর। নোয়াখালীর শহরাঞ্চলের অবস্থা এমন হলেও গ্রামের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ১৫-১৬ ঘণ্টাও বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হয় তাদের।

শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান জানান, আমাদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। প্রচ- গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে নাভিশ্বাস উঠছে। ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব জানান, লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ছে আর্থিক লেনদেনে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গ্রাহকসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা।

বিদ্যুৎ বিভাগের সদর অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আমার সদরে চাহিদা হলো ৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু আমাকে মেইন গ্রিড থেকে দেয়া হচ্ছে ১১ মেগাওয়াট। এতে করে লোডশেডিং করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

নোয়াখালী বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে নোয়াখালীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং মিশুক। বিদ্যুৎ ঘাটতির এটিও অন্যতম একটি কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন হাজার হাজার অটোরিকশা আর মিশুকের ব্যাটারি চার্জ দিতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আর এই প্রয়োজন মেটাতেই বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়। স্থানীয় সুশীল সমাজের নাগরিকরা মনে করেন, সঠিক পুনর্বাসনের মাধ্যমে অটোরিকশা এবং মিশুক গাড়িগুলো বন্ধ করলে বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটাই দূর করা সম্ভব।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০