ল্যাপটপের সুরক্ষায়

 

শহিদুল ইসলাম: কিছু নিয়ম মেনে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন। তাহলে সুরক্ষিত থাকবে প্রযুক্তি পণ্যটি। ল্যাপটপ সুরক্ষার কিছু বিষয় জেনে নিতে পারেনÑ

ল্যাপটপের ওপর ভারী কিছু রাখবেন না। এর পুরুত্ব খুব বেশি নয়। ওপর প্রান্তে ডিসপ্লে (মনিটর)  থাকে তাই ভারী কোনো কিছু বা চাপের ডিসপ্লেতে সমস্যা হতে পারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, প্রযুক্তি বাজারে ডিসপ্লে পরিবর্তন করা তুলনামূলক ব্যয়বহুল

প্রয়োজন শেষে ল্যাপটপের লিড নামিয়ে রাখুন। অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে। স্ক্রিনে ময়লা বা দাগ পড়বে না

অনেক সময় আমরা হাতের ওপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করি। এক্ষেত্রে ল্যাপটপ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সরানোর সময় কখনও শুধু ডিসপ্লের অংশে হাত রেখে সরাবেন না

স্ক্রিন প্রোটেক্টরের সঙ্গে কিবোর্ড প্রোটেক্টরও ব্যবহার করুন। এতে কীগুলোর ফাঁকে ধুলা জমবে না

মাঝে মাঝে মিনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কিবোর্ড পরিষ্কার করতে পারেন

চার্জার লাগিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। সব ল্যাপটপ ম্যানুফ্যাকচারার তাদের ল্যাপটপ ব্যাটারির সুরক্ষায় কিছু অ্যাপ সরবরাহ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ডেল তাদের ল্যাপটপের সঙ্গে ‘কুইকসেট’ নামে একটি অ্যাপ জুড়ে দেয়। এখানে কিছু অপশন থাকে যেমন, কত শতাংশ চার্জ হওয়ার পর ব্যাটারি আর চার্জ নেবে না। এ রকম অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন

সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে গরম, এমন কোনো স্থানে ল্যাপটপ রাখবেন না। তবে মাঝে মধ্যে ব্যাটারির চার্জ অর্ধেক রেখে সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ ব্যাটারি রেখে দিতে পারেন

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না

মাঝে মাঝে সিস্টেম ক্লিনার সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিস্ক স্ক্যান করাবেন। এক্ষেত্রে টিউন-আপ ইউটিলিটিস, অ্যাডভান্স সিস্টেম কেয়ার প্রভৃতি সফটওয়্যার বেশ কাজের

গুণগতমানে সেরা এমন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। এ বিষয়ে একটি ছোট্ট তথ্য দিচ্ছি। গত বছর, রেটিংয়ে সেরা তিনটি অ্যান্টি-ভাইরাস ছিল যথাক্রমে বিটডিফেন্ডার, ক্যাসপারস্কি ও নরটন

সরাসরি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক থেকে মিডিয়া ফাইল প্লে না করাই ভালো। কেননা, এক্সটার্নাল ডিভাইস থেকে ডেটা আদান-প্রদানের সময় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে কপি করে ব্যবহার করুন। একই নিয়ম পোর্টেবল সিডি-ডিভিডি রমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য

ল্যাপটপের বিল্ট-ইন সিডি অথবা ডিভিডি রমে ভালো সিডি-ডিভিডি ব্যবহারের চেষ্টা করুন

প্রয়োজন না হলে ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই চালু রাখবেন না। শাটডাউন ও সিøপ-মোডের পরিবর্তে ‘হাইবারনেট’ অপশন ব্যবহার করুন

স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। ব্যবহারের সময় ল্যাপটপের ছোট ভেন্টিলেটরের সামনে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা যেন না থাকে সে ব্যাপারে লক্ষ রাখুন। কয়েক দিন ব্যবহারের পর ভেন্টিলেটরের ভেতরে ধুলা-বালির আস্তরণ পড়ে; এগুলো পরিষ্কার করুন

কতক্ষণ পর সিøপ মোডে চলে যাবে, তা নির্ধারণ করে দিন

কুলার ব্যবহারের চেষ্টা করুন

মনে রাখবেন, ল্যাপটপ কেনার সময় আমরা যে এক্সেসরিজ পেয়ে থাকি, সেগুলো বেশির ভাগ সময়ই অরিজিনাল থাকে। কিন্তু পরে দেশে অরিজিনাল অ্যাকসেসরিজ পাওয়া কষ্টকর হয়ে পরে। তবু ল্যাপটপ সুরক্ষায় গুণগতমান দেখে অ্যাকসেসরিজ কিনুন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০