নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ‘চায়না ভাইরাস’ নামে খ্যাত ‘করোনা ভাইরাস’ পরীক্ষা করার দ্বিতীয় ল্যাব চালু হয়েছে চট্টগ্রামে। আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এর ল্যাব থেকে সিভাসুকে সকাল ১১টার দিকে বিশটা নমুনা (স্যাম্পল) দেয়া হয়েছে। এর পরপরই কাজ শুরু করে সিভাসু। করোনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ল্যাব চালু হওয়া চট্টগ্রামের জন্য বিশাল সুবিধা বলে মনে করছে সিভাসু কর্তৃপক্ষ।

তবে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছে বলে এর জন্য স্বাস্থ্য বীমা ও ঝুঁকি ভাতার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাব ইনচার্জ অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ ছিদ্দিকী
তিনি জানান, প্রথম দিনে আমাদের ল্যাবে করোনা পরীক্ষার জন্য বিশটা স্যাম্পল দেয়া হয়েছে। সেগুলোই পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় রিপোর্ট বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, শুরুতে একটি পিসিআর মেশিনেই এই নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও সিভাসুতে আরও ৫টি মেশিন নমুনা পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকীর জানান, শুরুতে একটি পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। চাপ বাড়লে এবং প্রশাসন চাইলে আরো ছয়টি মেশিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো যাবে। আমরা প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কাজ করতে পারবো। একটি মেশিনে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। সবগুলো মেশিনে পরীক্ষা করা হলে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের জন্য এটি একটি বিশাল সুবিধা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেও মেশিন নেই। বিআইটিআইডিতে প্রচুর নমুনা আসছে। জাতীয় দুর্যোগে আমরাও আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, সেটা দিয়ে কাজ করবো। আমাদের ছাত্ররা কষ্ট করে এখানে কাজ করছেন।
স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একজন শিক্ষক ও ছয়জন ছাত্র ভলানটিয়ার হিসেবে আমার সাথে কাজ করছে। তাদেরও তো ঝুঁকি আছে। তাদের জন্য সরকার যদি স্বাস্থ্য বীমা ও ঝুঁকি ভাতা দেয়, তাহলে ভালো হয়। বিশ^বিদ্যালয় থেকে আমাদেরকে কোনো টাকা-পয়সা দিচ্ছে না। আমরা এটা পুরোপুরি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে করছি।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক মাধ্যমে সিভাসুকে করোনা পরীক্ষার অনুমতির দেওয়া হয়।