নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়। পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। এখনও দেশের ৩৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একটি শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনই পারে আসন্ন এই তামাক মহামারির কবল থেকে জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দিতে।
রাজধানীর বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে গত শনিবার ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) একটি কর্মশালার আয়োজন করে। এতে বক্তারা এমন বক্তব্য তুলে ধরেন।
কর্মশালায় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন। কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সবশেষ অবস্থা তুলে ধরেন সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার। গণমাধ্যমের করণীয় অংশে আলোচক হিসেবে অংশ নেন এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ, সিটিএফকে বাংলাদেশ টিমের গ্রান্টস ম্যানেজার এমএ সালাম এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয় সেগুলো হলোÑ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্তসহ সব পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রি নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি।