শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার এবং ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো শক্ত অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেনÑএমন সম্ভাবনায় দেশটির ট্রেজারি বন্ড থেকে পাওয়া সুদের হার বেড়ে গেছে। ফলে ট্রেজারি বন্ডের চাঙা ভাব তেজি করেছে ডলারের বাজার। খবর: রয়টার্স।
গতকাল মঙ্গলবার জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে ডলার ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ফ্রান্সে অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালির বিপক্ষে বাকি রাজনৈতিক দলগুলো একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছে, যাতে তারা ক্ষমতায় না আসতে পারে। তেলের দাম বাড়তি রয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের নজর থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দিকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল কয়েক দিন পর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি কোন পথে যাবে, সে ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়ার চেষ্টা করবেন সবাই। এ সপ্তাহে কর্মসংস্থান সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, সেই প্রেক্ষাপটে ফেডের নীতির দিকে নজর রাখবেন বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৬১ দশমিক ৫৬ ইয়েন। গত সোমবার এই দাম ছিল ১৬১ দশমিক ৭২ ইয়েন, ১৯৮৬ সালের ডিসেম্বরের পর এটিই বড় অবমূল্যায়ন। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডের সুদের হারের ওপর ডলার ও ইয়েনের দাম অনেকটাই নির্ভর করে। সপ্তাহের শুরুতে ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে আগের চেয়ে ১৪ ভিত্তি পয়েন্ট বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছিল।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হবেনÑএই সম্ভাবনায় বন্ড থেকে বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ধারণা, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে শুল্কের হার আর সরকারি ঋণের পরিমাণ বাড়বে। নির্বাচনী বিতর্কে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুর্বল পারফরম্যান্স শুরুতে ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এক আদেশ। ওই আদেশ বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে হারার পর ফলাফল বাতিলের চেষ্টা-সংক্রান্ত বিচার থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোটাদাগে দায়মুক্তি রয়েছে।