Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 1:43 pm

শঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করায় সূচকের পতন

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: টানা উত্থান শেষে পরপর দুই কার্যদিবস পুঁজিবাজারের সূচক কমতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বাজারমূলধন হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর। এই দুই দিনের মধ্যে প্রথম দিন দর সংশোধন করা হলেও গতকাল ভীত হয়ে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতায় সূচকের পতন দেখা যায়। লেনদেন কমার পাশাপাশি গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচক স্থির হয়েছে চার হাজার ৭২০ পয়েন্টে।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তখন বাড়ে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। কিন্তু পরে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বাজারচিত্র বদলে যায়। অধিকাংশ শেয়ারেই ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে দরপতন হতে শুরু করে। মূলত আগের কার্যদিবসে বড় ধরনের সূচক পতনে ভীত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেন বিনিয়োগকারীরা, যার জের ধরে গতকালও বড় ধরনের পতন দেখা যায়।

এদিকে আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও প্রায় সব খাতের শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ব্যাংক খাত। গতকাল এ খাতের সবচেয়ে বেশি কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে। তবে দর কমলেও এ খাতের বেশি সংখ্যক শেয়ার লেনদেন না হওয়ার কারণে আগের কার্যদিবসের চেয়ে গতকাল মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান কমে যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখা যায় ১০ শতাংশের কিছু বেশি।

অন্যদিকে গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ২২ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। গতকাল মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৫ শতাংশ। বাকি খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ছাড়া অন্যগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

এদিকে সূচক পতনের পাশাপাশি গতকাল ডিএসইতে লেনদেনও কমতে দেখা গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৫২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনা-বেচা হয়। অন্যদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে মোট ৫১ কোটি টাকার শেয়ার কেনা-বেচা হতে দেখা যায়।