শোবিজ ডেস্ক: শফিকুর রহমান শান্তনুর রচনা ও দীপু হাজরার পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে নাটক একমুঠো জোনাকি। এতে আবীর ও হৃদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও শবনম ফারিয়া। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন মাসুম বাশার, নিঝু মনি, ফরিদ মোহাম্মদ, নাজিরুল আপন, শুভ, ফাইজা, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছেন মোজাফফর দিপু। আগামী শনিবার রাত ৮টায় বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে সম্প্রচার হবে নাটকটি। আবীরের সঙ্গে হৃদির পরিচয়টা বেশ মজার। একদিন হৃদি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাকে লক্ষ করে দুজন ইভটিজার শিষ দেয়। এ সময় সুদর্শন আবীরকে এগিয়ে আসতে দেখে হৃদি সাহস পায়। ভাবে, আবীর হয়তো এ দুজন বখাটেকে শায়েস্তা করবে। কিন্তু সে তা না করে আচমকা অট্টহাসিতে মেতে ওঠে। তার হাসি দেখে হৃদি যেমন বিব্রত হয়, তেমনি ইভটিজাররা চমকে ওঠে। ঠিক তখনই এক পুলিশ এলে ইভটিজাররা পালিয়ে যায়। এদিকে পুলিশ আবীরকে ধরে নিয়ে যায় থানায়। আবীরের বাবা মাসুম সাহেব থানায় এলে পুলিশ জানায়, তার ছেলের নামে অনেক অভিযোগ। সে রাস্তার মেয়েদের ইভটিজিং করেছে। তার বাবা হƒদির কাছে বিষয়টি জানতে চায়। হƒদি বলেন, বিরক্ত না হলেও তার হাসি আমাকে বিব্রত করেছে। এতে মাসুম সাহেব বলেন, এটা তার ছেলের অসুখ। একে বলে, সিউডোবুলবার এফেক্ট। এটা বিরল এক ব্যাধি। যার চিকিৎসা অনেকদিন ধরে চলছে, এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেনি আবীর। এ রোগে আক্রান্তরা হঠাৎ এমনভাবে হেসে ওঠে বা কেঁদে ফেলে মনে হয়, তারা সত্যিই হাসছে বা কাঁদছে। তখন তারা হাসি বা কান্না নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এ কারণে অনেকেই তার ছেলেকে ভুল বোঝে। অবশেষে হৃদির অনুরোধে ছাড়া পায় আবীর। এভাবেই নাটকটির গল্প এগিয়েছে।
