Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:15 am

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ইমামদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, ইমামরা সমাজ পরিবর্তনের বড় হাতিয়ার। শব্দদূষণের মতো ক্ষতিকর বিষয়ে ইমামদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে সচেতন করার জন্য তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইমামদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় ইমামদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ  অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পরিবেশের যথাযথ সংরক্ষণের ওপর  আমাদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা নির্ভরশীল। কোন পরিবেশ মানুষের জন্য কল্যাণকর, কোন পরিবেশে  বসবাস করলে মানুষের সুবিধা হবে বা মানুষ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারবে, ইসলাম তা সুনিশ্চিত করলেও বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষ প্রতিদিন আল্লাহর অপার নিয়ামত এই পরিবেশ নানাভাবে নষ্ট করছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। সরকার কিংবা আইন প্রয়োগকারীর একার পক্ষে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে মসজিদের খতিব ও ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। 

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর (যুগ্ম সচিব) বলেন, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব হিসেবে মানুষকে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। যেমন  জগতের সব সৃষ্ট বস্তুই আল্লাহর বলে উপলব্ধি করা, প্রকৃতির সম্পদ  সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও ন্যায়ভাবে ভোগ করা, এবং সঠিক ও পরিমিত ব্যবহার  করা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি বলেন, শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হƒদরোগ, ক্লান্তি, অবসাদ, অনিদ্রা, মানসিক চাপ প্রভৃতি রোগেরও অন্যতম কারণ শব্দদূষণ। স্বাভাবিক মানুষের কান শূন্য  থেকে ৬০ ডেসিবলের শব্দ শুনতে পায় কিন্তু ১২০ থকে ১৪০ ডেসিবলের শব্দ কান ব্যথার উদ্রেক করে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, ইমামরা হচ্ছেন সমাজের লিডার। তাদের দ্বারা সমাজ প্রভাবিত হয়। বিধায় শব্দদূষণরোধে খতিব/ইমামদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিন লাখ মসজিদে শব্দদূষণ বিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করতে হবে। ইমামদের প্রশিক্ষণের যে সিলেবাস সেখানে শব্দদূষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী, সৈয়দ মনিরুজ্জামান, আলমগীর হায়দার প্রমুখ।