শব্দদূষণ বন্ধে সবার সহযোগিতা দরকার: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজšে§র জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে শব্দদূষণ রোধে সবার সহযোগিতা একান্ত দরকার। এজন্য উচ্চশব্দ সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকতে ও যানবাহন চালানোর সময় চালকদের অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। কল-কারখানা, নির্মাণকাজসহ নানা ক্ষেত্রেও উচ্চ শব্দসৃষ্টি পরিহার করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলায় পরিচালিত শব্দের মানমাত্রা পরিমাপ-সংক্রান্ত জরিপ কার্যক্রমের ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শাহাব উদ্দিন বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৬৪ জেলায় শব্দের মানমাত্রা নির্ণয়ের জন্য জরিপ হয়েছে, রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীকালে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে সংশোধন করা হবে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএ ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেনÑপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (ইএনটি) ডা. হুসনে কমর ওসমানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন ড. সীমা জামান।

দেশের ৬৪ জেলার শব্দের মানমাত্রা পরিমাপ-সংক্রান্ত জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন ইকিউএমএস ও ক্যাপসের টিম লিডার অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা শব্দদূষণ বন্ধে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০