পারভীন লুনা, বগুড়া: কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বগুড়ায়ও। জেলায় কভিডে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন বগুড়ার, দুজন নাটোরের ও একজন নওগাঁর।
একই সময় নতুন করে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭ জন। গতকাল বুধবার বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৭ জন কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ৬১ জন। বগুড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৩৯ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৬১২ জন। মারা গেছেন ৩৯৪ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৩৩ জন।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলার হাসপাতালগুলোয় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোয় নতুন রোগী ভর্তির পরিস্থিতি নেই। ভর্তি থাকা রোগীদের কেউ সুস্থ হয়ে ছাড়া পেলে তবেই নতুন রোগীকে শয্যা দেয়া যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। চাপ সামলাতে অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি আপাতত বন্ধ রাখছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
আর বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কভিড ইউনিটেও কোনো শয্যা খালি নেই।
বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, আগের দিন কয়েকটি বেড খালি হয়েছিল। নতুন রোগী ভর্তি হওয়ায় কভিড ইউনিটের সব শয্যা আবার পূর্ণ হয়ে গেছে।
মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, রোগীর চাপে আরও ২০টি শয্যা বাড়িয়ে ১৮০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্ত রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জনের বেশি নতুন রোগী আসছে। হাসপাতালের অন্য রোগী ভর্তি এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে হয়তো আরও কয়েকটি শয্যা বাড়ানো যাবে।
বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে কভিড ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৭৭ জন।