তানভীর ইসলাম, পাবনা: ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মানসিক হাসপাতাল আন্তর্জাতিক মানের হবেÑএ খবর ২০২০ সালের অক্টোবরের। খরবটি শুনে পাবনার মানুষ ভীষণ আনন্দিত হয়েছিলেন।
এরই সঙ্গে দেশের আরও দুটি সিলেট ও চট্টগ্রামেও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করবে সরকার, যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গণমাধ্যমে উঠে আসে। কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এরই মধ্যে উক্ত কমিটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মতবিনিময় করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত চারটি সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রথম সিদ্ধান্ত হিসেবে মূল্যায়িত হয়েছে পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা।
জনসাধারণকে উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রধানমন্ত্রী এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১৭ জুন বৃহস্পতিবার পাবনা মানসিক হাসপাতালের একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের তথ্যমতে, দেশের ১৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষ ও ১৮ শতাংশ শিশু মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। এই বৃহৎ মানসিক রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালে মাত্র ৫০০ শয্যা রয়েছে। অথচ বর্তমানে প্রায় ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রতিদিন প্রায় ৩০০ রোগী সারাদেশ থেকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। শয্যা সংকটের কারণে মানসিক রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নতুন রোগীর চাপে পুরোনো রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম প্রায়ই অসমাপ্ত রেখে রিলিজ করতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী জানালেন, সিরিয়াল অনুযায়ী দুই-এক দিনের মধ্যে আসন না পেলে আশেপাশের কোনো হোটেলে উঠতে হবে। অন্যথায় বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।
তথ্য সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করা হলে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল বাসার মো. আসাদুজ্জামান কার্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মাধ্যমে জানান, কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে বহিরাগতদের হাসপাতাল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।