নিজস্ব প্রতিবেদক: শরিয়াহভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁবিজাবারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিদ্যমান ব্যবসার পাশাপাশি ইসলামিক ফাইন্যান্স উইন্ডোর অধীনে শরিয়াহভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসা পরচিালনা করবে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এ লক্ষ্যে কোম্পানির সংঘবিধি ও সংঘ স্মারকের সংশ্লিষ্ট ধারার অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৩৮ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪১ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসির। মূলত শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে আয় কমার পাশাপাশি, ব্রোকারেজ আয়, ফি, এক্সচেঞ্জ ও পরিচালন ব্যয় বাড়ায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে প্রতিষ্ঠানটির।
কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১২ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১২ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৮ টাকা ৮২ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বান জানিয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ০২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৫৯ পয়সা (ঘাটতি