শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে পাটের আবাদ

বাসস

অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো সার-বীজ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে শরীয়তপুরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে অধিক পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পাটের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এ বছর জেলায় ২৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষক ৮০ শতাংশ পাট জমি থেকে কেটে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রাসূল বাসসকে বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ও সময়মতো সার-বীজ পাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় জেলার কৃষকরা অনেক বেশি জমিতে পাটের আবাদ করেছে। এছাড়া পাটের বাজারমূল্য তুলনামূলক বেশি থাকাটাও অধিক পরিমাণ পাট চাষের একটি কারণ। এ বছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭ হাজার ৬২৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ২৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৭৯০, নড়িয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৬৫০, জাজিরা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৪০, ভেদরগঞ্জে উপজেলায় ৫ হাজার ১৩০, ডামুড্যা উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ ও গোসাইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টরে দেশি, তোষা, মেসতা ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে।

জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাসার গ্রামের পাট চাষি মো. মোশাররফ মোল্লা জানান, এ বছর আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় আমরা পাটের আবাদ বেশি করেছি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পাট প্রকার ভেদে ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ বছর পাট আবাদ করে আমরা বেশ লাভবান হয়েছি। আশা করছি মৌসুমের শেষ দিকে আমরা আরও বেশি দাম পাব। 

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন বলেন, পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার উন্নতমানের পাটের বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ করে মানসম্মত পাট উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে আসছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সার্বিক সহায়তায় অধিক পরিমাণ আবাদ করে ফলনও পেয়েছে বেশ ভালো। পাটের বাজারমূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০